Logo

অপরাধ    >>   পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায় ১৭ ডিসেম্বর

পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায় ১৭ ডিসেম্বর

পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায় ১৭ ডিসেম্বর

বাংলাদেশের হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে চূড়ান্ত রায়ের জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই তারিখে রায় ঘোষণা করবেন বলে জানানো হয়েছে।

এটি এমন একটি সংবিধান সংশোধনী, যা ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করা হয়, এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনসংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয় এবং সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার পুনর্বহাল করা হয়। এই সংশোধনীতে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।

এ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় ২০১১ সালের পর। গত ১৮ আগস্ট, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিট করেন, যাতে পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। তারা দাবি করেন যে, এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টি একসঙ্গে রাখা হয়েছে, যা পরস্পরবিরোধী এবং সাংঘর্ষিক। তারা আরো বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে এই সংশোধনীর মাধ্যমে।

হাইকোর্ট ১৯ আগস্ট রুল জারি করে এবং জানায়, পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানাতে হবে। শুনানিতে বিএনপি, জামায়াত, গণফোরাম এবং বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি পক্ষভুক্ত হয়। রুলে আসা পক্ষে সহায়তা প্রদানকারী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং গণফোরামের নেতৃবৃন্দ যুক্ত হন।

এই পরিস্থিতিতে, হাইকোর্ট আগামী ১৭ ডিসেম্বর পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা সম্পর্কে চূড়ান্ত রায় প্রদান করবে। রিটকারী ব্যক্তিরা এবং সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো আশা করছেন যে, হাইকোর্টের রায় তাদের পক্ষেই হবে।

এছাড়া, মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও এই রিটে অংশগ্রহণ করেছেন, যা বাংলাদেশের সংবিধানের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert